পাবনা প্রতিনিধি
পাবনা জেলার সদর উপজেলাধীন চরতারাপুর ইউনিয়নের ভূমি অফিসের পিয়ন থাকাকালীন আব্দুস সালাম এর বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। জানা গেছে, কাজ হাসিল করে দেয়ার কথা বলে কৌশলে ভূমি অফিসটিকে দুর্নীতির আখড়ায় পরিণত করে ছিলেন।
অভিযোগে জানা যায়, সে দালাল সিন্ডিকেট তৈরী করে মনগড়া ভাবে অফিস করে যার প্রমাণ মেলে অফিস আশা হাজারো ভুক্তভোগী ।
ওই অফিসে টাকা ছাড়া ফাইল নড়ে না, নামজারি করা হয় না, পরচা দেখানো বা দেয়া হয় না- এমন ঘটনার সাথে জড়িত হয়ে পড়েছে চরতারাপু ইউনিয়ন ভূমি অফিসের পিয়ন সালাম ।
ভূমি সেবা সংক্রান্ত বিষয়ে সরকারি নির্ধারিত ফি নির্ধারন থাকা সত্বেও এই ভূমি অফিসের পিয়ন যেনো ঘুষ বাণিজ্যে মুখর। ফলে ভূমি অফিসে গ্রাহক ভোগান্তি চরম আকার ধারণ করেছে। এ ব্যাপারে বিক্ষুব্ধ সেবা গ্রহিতা এলাকাবাসী ।
জানা যায়, চরপুটিমারি ইউনিয়ন ভুমি অফিসে বিভিন্ন মৌজার জমির নামজারি, বাজার ইজারা ফাইলের কাজ হয়। এছাড়া ভুমি অফিসে খাজনা প্রদান, পর্চা উত্তোলনসহ জমি সংক্রান্ত নানা তথ্য প্রদান করা হয় এ অফিস থেকে। এই ইউনিয়নের গুরুত্বপূর্ণ মৌজায় অর্থনৈতিক অঞ্চল হওয়ায় সরকার প্রদত্ত ক্ষতিপূরণের টাকা উত্তোলন করতে জমা খারিজ ও খাজনা রশিদ বাধ্যতামূলক। তাই জমা খারিজ করতে উক্ত মৌজার লোকজন প্রয়োজনীয় কাজ করতে ভূমি অফিসে আসেন প্রতিনিয়ত।
কিন্তু এসব কাজ করতে আসা মানুষের সেবার পথে আটকিয়ে কাগজপত্র নিয়ে ভুলত্রুটি দেখিয়ে টাকা হাতিয়ে নেয়া তার নেশায় পরিণত হয়ে ছিলো কর্মরত পিয়নের ।
জানা যায়, পিয়ন সালাম অফিসের কথা বলে পরচা প্রতি একশত/দুইশত টাকা আদায় করছেন। নামজারি বাবদ ৫ থেকে ১০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়। আর বিবিধ নামজারি হলে তো কথাই নেই, ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা দিতে হয় তার হাতে। অন্যথায় মাসের পর মাস গেলেও সঠিক কাগজপত্র থাকা সত্বেও নামজারির খবর নেই।
জানা যায় আব্দুস সালাম তিনি এখন পাকশী ভূমি অফিসের পিয়ন পদে কর্মরত রয়েছেন ।