আচ্ছা আপনাকে যদি বলি আপনার কাছে সময়ের গুরুত্ব কত? অবশ্যই বলবেন অনেক। সময়ের গুরুত্ব এক এক ব্যক্তির জন্য একেক রকম, যেমন একজন শিক্ষার্থীর কাছে সকালে ঘুম থেকে উঠে কোচিং, প্রাইভেট, স্কুল, কলেজ, ভার্সিটি কতইনা চাপ যে সময় মিলানো যায় না। আবার একজন চাকরিজীবির ক্ষেত্রে বিষয়টা অন্যরকম বাসা, অফিস সামলাতে সামলাতে সময় যে কখন শেষ হয়ে যায় বলাই যায় না। একজন কৃষক বা রিক্সা চালককে বললেও দেখা যাবে তাদের সময়ের বড়াই অভাব। সময় যে কখন শেষ হয়ে যায় বোঝাই যায় না। কিন্তু আমরা সময়কে আসল কাজে লাগানোর কথাই ভুলে যাই। আমাদের সৃষ্টির উদ্দেশ্যকেই ভুলে যাই। আল্লাহ আমাদের যে পরীক্ষার জন্য পৃথিবীতে প্রেরণ করেছেন সেটাই আমরা ভুলে যাই। পৃথিবীর ক্ষণস্থায়ী জীবনের সামান্য পরীক্ষায় পাশের জন্য কত পরিশ্রম কত চেষ্টা আমাদের। যার কোন নিশ্চয়তা নেই। মানুষের গড় আয়ু ধরা যায় ৭২.৪% বছর যদিও নিশ্চয়তা নেই কার জীবন কত বড় এই সামান্য জীবনে ৪০ বছর ভালো থাকার জন্য ৩০ বছর পড়াশোনার চাপ আবার কর্মের কতই না চাপ সামলাতে হয় আমাদের। কিন্তু আখেরাতের সেই অসীম জীবনের সুখের জন্য আমাদের সামান্য মাথা ব্যথা ও নেই। ২৪ ঘন্টার ১-২ ঘন্টা তার জন্য বরাদ্দ করতে পারিনা আমরা। সময়টা যে শেষ হয়ে যাচ্ছে সেদিকে লক্ষ্য কি আসলেই আছে আমাদের। সময়ের গুরুত্বটাকি আসলেই বুঝি আমরা?
মোঃ কাওছার মিয়া দিপু
বিএসএস, এমএসএস রাষ্ট্রবিজ্ঞান
সরকারি আজিজুল হক কলেজে, বগুড়া