1. holyjannattv@gmail.com : rajib :
  2. admin@amarsangbadpratidin.com : admin :
  3. writers@amarsangbadpratidin.com : Writers :
বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ০৮:২৩ অপরাহ্ন
সর্বশেষ :
‎পানছড়ি উপজেলা প্রশাসনের মাসিক আইন-শৃঙ্খলা সভা অনুষ্ঠিত। দিনাজপুর জেলা আইনজীবী সমিতির উদ্যোগে ঈদ পূণর্মিলনি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত উত্তর তরঙ্গ সাহিত্য পরিষদের সাধারণ সভা ও কমিটি গঠন ডুমুরিয়া উপজেলায় বোরো ধান কাটার ব্যস্ত সময় পার করছে কৃষকরা গফরগাঁও উপজেলার মাসিক সভা অনুষ্ঠিত  ঝালকাঠিতে জেলা রোভার স্কাউটের ব্যবস্থাপনায় ৩৮৬তম রোভার স্কাউট লিডার বেসিক কোর্স উদ্ধোধন ঝালকাঠির সাওরাকাঠি গার্লস স্কুলের এডহক কমিটির সভাপতি রিয়াজুল ইসলাম বাচ্চু শাহজাদপুরে নিহত এসএসসি পরীক্ষার্থী ইমনের পরিবারকে সমবেদনা জানালেন মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ঝালকাঠির রাজাপুরে গুম-খুনের ঘটনায় তদন্ত শুরু করলো গুম-খুন কমিশন লোহাগাড়ায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে যুবক আহত, চট্টগ্রাম মেডিকেলে প্রেরণ

খুলনার দাকোপে পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষের অনিয়ম ও দুর্নীতিতে এলাকার বিদ্যুৎ গ্রাহকরা অতিষ্ঠ

Reporter Name
  • Update Time : বুধবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৩
  • ১৯৮ Time View

মোঃ শামীম হোসেন – খুলনা বিভাগীয় প্রতিনিধিঃ– খুলনার দাকোপে পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষের অনিয়ম ও দুর্নীতিতে এলাকার বিদ্যুৎ গ্রাহকরা অতিষ্ঠ। এলাকার বিদ্যুৎ গ্রাহকরা বলেন একে তো বিদ্যুৎ এর ইউনিটের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে তারপর আবার ইচ্ছে মতো মাস শেষে বিল করায় গ্রাহকেরা বিলের কাগজ হাতে পেয়ে দিশেহারা হয়ে যাচ্ছে। ইউনিটের দাম বাড়তি তারপর ডিমান্ড চার্জ, ভ্যাট, মিটার ভাড়া দিয়ে যে বিল হচ্ছে তা বলতে হয় মরার পর খারার ঘা। গ্রাহকরা বলেন বিল বিদ্যুৎ এর বিল বর্তমানে সকল সুদ চক্রকে হার মানিয়ে দেদারছে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। গ্রাহকদের মধ্যে থেকে জানান ৫ ইউনিট বিদ্যুৎ ব্যবহার করে এই মাসে বিল এসেছে ১৫২ টাকা। অফিস ঘরে ব্যবহিত বানিজ্যিক মিটার ইউনিট প্রতি ইউনিট ১১ টাকা ৯৩ পয়সা তাহলে ৫ ইউনিট এর দাম দেখিয়েছে ১১.৯৩*৫= ৬০ টাকা, ডিমান্ড চার্জ ৭৫ টাকা, ব্যাট ৭ টাকা, মিটার ভাড়া ১০ টাকা সর্বমোট ১৫২ টাকা। তারা বলেন মিটার নেওয়ার সময় টাকা দিয়ে কিনে নিতে হয়েছে ৫০০ -৬০০ টাকার মিটারে টাকা দিতে হয়েছে ৩৫০০ টাকা এখন আবার প্রতিমাসে মিটার ভাড়া ১০ টাকা এটা কোন নিয়ম। বিলের কাগজে এসকল দুর্নীতির পরও তারা থেমে নেই এলাকা ঘুরে দেখা যায় দাকোপ সাব-জোনাল পল্লী বিদ্যুৎ এর গ্রাহকদের লাইন সংযোগ বিছিন্নকরণে অনিয়ম ও অর্থ বানিজ্যর খবর পাওয়া গেছে। অভিযোগ কারীরা বলেন দাকোপ সাব-জোনাল পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে গ্রাহক সেবা দিতে ব্যর্থ। দাকোপ সাব জোনাল পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে চলছে অনিয়ম মুখ চিনে চিনে বিদ্যুৎ সংযোগ বিছিন্নকরণ অভিযান। দাকোপ সাব-জোনাল পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের কর্মচারীদের ভয়ভীতি প্রদর্শন ও অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অত্যাচারে অতিষ্ঠ গ্রাহক। বিদ্যুৎ বিল বাকী থাকলে বিদ্যুৎ সংযোগ বিছিন্ন করা হবে। এমন প্রচারে ২১ নভেম্বর সকাল থেকে দাকোপ সাব-জোনাল পল্লী বিদ্যুৎ লাইন সংযোগ বিছিন্নকরন অভিযান পরিচালনা করতে দেখা যায়। এ অভিযানে ধনী ও মধ্যবিত্ত গ্রাহকেরা সংযোগ বিছিন্নের ধরাচরার বাইরে থাকলেও গরীব গ্রাহকরা চরম বিপদে। চালনা পৌরসভার সবুজ পল্লী আবাসিক এলাকায় খবর নিয়ে জানা যায়,খুব সকাল থেকে বিদ্যুৎ সংযোগ বিছিন্নকরন অভিযানে নামে একাদিক পল্লী বিদ্যুৎ কর্মীরা। সকাল সাড়ে ৭টার মধ্য একাদিক লাইন সংযোগ বিছিন্ন করে তারা। এমন পরিস্থিতিতে অনেক গ্রাহক অফিস খোলার সময়টুকু আবেদন করেন। অফিস খুললে বিল পরিশোধ করা হবে। তবুও লাইন সংযোগ বিছিন্ন এড়াতে পারিনি। দেওয়া হয়নি কোন সুযোগ। একাদিক গ্রাহকের অভিযোগ এমনটা। বিদ্যুৎ অফিসের লাইন সংযোগ বিছিন্ন করণে দায়িত্ব প্রাপ্ত ব্যক্তি বিদ্যুৎ সংযোগ বিছিন্ন করার আগে, গ্রাহকের পরিচয়, ক্ষমতা জেনে লাইন বিছিন্ন করছে। তাছাড়া পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের অনেকে লাইন বিছিন্ন করে পুনরায় সংযোগ দিয়ে অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার অভিযোগও উঠেছে। এমন সংবাদে দাকোপ সাব-জোনাল পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের সামনে গেলে একাদিক গ্রাহক অফিসের সামনে দেখা যায়। অনেকের সাথে কথা বলে জানা যায়, কারো দু’মাসের বিল বাকী,আবার কারো তিন মাসের বিল বাকী। কারো আবার দু’মাস মিলে ৯৫ বা ১০৫ টাকা। আবার কারো তিন মাস মিলে ১৭০ টাকা। আর তারপরও সামান্যতে গুনতে হচ্ছে ৬৯০ টাকা জরিমানা। সবুজ পল্লীর বাসিন্দা (আনিসুর রহমান) খানজাহান চায়ের দোকানদার বলেন, আমি আমার চায়ের দোকানের ও বাসার বিল দেওয়ার জন্য আমার মিসেসকে অফিসে পাঠাই। তখন সকাল ৮ টা ৪৫ মিনিট। আমার বাসাও দোকানের বিলের টাকা কম পড়েছে এমনটা মোবাইলে জানান। আমার মিসেসকে দোকানের বিলটি পরিশোধ করতে বলি। সে দোকানের বিল পরিশোধ করেন। এবং পরে আমার মিসেস নিজে বিলিং আপারে বলেন, দুইটি বিল দেওয়ার জন্য এসেছিলাম। টাকা একটু কম থাকায় বাসার বিলটি দিতে পারছি না। আমার হাজমেন্ট দোকান থেকে রওনা হয়েছে। অল্প কিছুক্ষনের মধ্য ওনি এসে বাসার বিল পরিশোধ করবেন। সেই মহূর্তে বিদ্যুৎ অফিসের লোক বাসায় গিয়ে লাইন সংযোগ বিছিন্ন করেছে। এবং আমার দেওয়া আছাদের লাইনও বিছিন্ন করে। এখন সর্ব শেষ আমি ও আমার মিসেস বিলিং আপার সাথে কথা বলেছি, তার যে ব্যবহার, আমি তাতে খুব দুঃখিত। বিলিং আপা আমাদেরকে হুমকি ধামকি ও চেচিয়েমেচিয়ে বলেন, যা পারো তাই করো। আমি কারো কথা শোনা লোক নয়। কথা বললেই মিটার খুলে আনা হবে। প্রধানমন্ত্রী হলেও ছাড় নেই। পরে (এজিএম) মহাদোয়ের সাথে দেখা করতে গেলে অফিসে পাওয়া যায়নি।পরে গণমাধ্যম কর্মীরা, এজিএম সাহেবের মুটো ফোনে কয়েক বার কল করার পরে রিসিভ হয়। তিনি জানান, আমি বাইরে, কিছুক্ষণের মধ্য অফিসে আসবো। এক ঘন্টা পরে এজিএম অফিসে আসেন। উক্ত বিষয় নিয়ে (এজিএম) আব্দুল মুনিম খানকে জানানো হয়, তিনি বলেন আমরা মাইকে ঘোষণা করে লাইন সংযোগ বিছিন্নকরন অভিযান অব্যাহত রেখেছি। তাছাড়া ইউএনও, উপজেলা চেয়ারম্যান, সভাপতি আলহাজ্ব শেখ আবুল হোসেন, প্রেসক্লাবের সভাপতি গোবিন্দ বিশ্বাস, রিপোর্টারস ক্লাবের সভাপতি রুমান আহমেদসহ সকলকে জানিয়েছি। আজ কোন গ্রাহকের কাছ থেকে টাকা নেওয়া হবে না। আজ ২০০ থেকে ২৫০ লাইন সংযোগ বিছিন্ন করা হবে। এমন কি সরকারি প্রতিষ্ঠানকে ছাড় দেওয়া হবে না। কোন অফিস আদালত বিল বাকী রাখলে সংযোগ বিছিন্নের আওতায় পড়বে। এ নির্বাচনের আগে সকল গ্রাহককে বিল পরিশোধ করতে হবে বাধ্যতামুলক। আমার অফিসে কোন অনিয়ম দুর্নীতি নেই। যদি কারো কোন অভিযোগ থাকে তাহলে লিখিত আকারে দিতে পারেন।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© Amarsangbadpratidin.com
Theme Customized BY Kh Raad (FriliX Group)